NID Server Problem: অপ্রত্যাশিত সমস্যার জন্য দুঃখিত এর সমাধান

বর্তমানে NID Form নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য একাউন্ট রেজিস্ট্রেশিন করতে গেলে "অপ্রত্যাশিত সমস্যার জন্য দুঃখিত। একটু পরে আবার চেষ্টা করুন" এই মেসেজ টি দেখায়।

সম্প্রতি এই সমস্যাটি বেশি দেখা যাচ্ছে। Bangladesh National Id Card Service ওয়েব সাইটের টেকনিক্যাল কোন সমস্যার কারণে এমনটি হতে পারে অথবা ইচ্ছাকৃত ভাবে NID Slip (ভোটার ফরম) দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড করা বন্ধ রাখা হয়েছে।

ঘটনা যাই হউক এখন কথা হচ্ছে নতুন ভোটারগণ তাদের NID Card বের করবে কি ভাবে?

অনেক খোজাখোজি করে অপ্রত্যাশিত সমস্যার জন্য দুঃখিত। একটু পরে আবার চেষ্টা করুন এই সমস্যার সমাধান বের করতে পেরেছি।এই সমস্যাটির সমাধান দেখার আগে আপনাকে কিছু চেক লিস্ট চেক করে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে যে, আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র আসলেই অনলাইনে এসেছে কিনা।

অপ্রত্যাশিত সমস্যার জন্য দুঃখিত
অপ্রত্যাশিত সমস্যার জন্য দুঃখিত এর সমাধান

কি কি কারণে অপ্রত্যাশিত সমস্যার জন্য দুঃখিত এই ওয়ার্নিং দেখায়?

অপ্রত্যাশিত সমস্যার জন্য দুঃখিত, কিছুক্ষণ পরে আবার চেষ্টা করুন এই মেসেজটি বেশ কিছু কারণে দেখাতে পারে। NID Service সার্ভারে এনআইডি কার্ডের অনলাইন কপি না থাকলে। অর্থাৎ নতুন ভোটারের আবেদন করার কিছুদিন পরেই অনলাইনে চেক করলে এই ওয়ার্নিং দেখায়।

  1. NID Server এ আপনার NID Card Online Copy না থাকলে
  2. ফরম নাম্বার অথবা জন্ম তারিখ ভুল লিখলে
  3. Server Problem ( অধিকাংশের ক্ষেত্রে যেটি হচ্ছে )

প্রথম সমস্যাটি তাদের বেশি হয় যারা ইমারজেন্সি আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করে। উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে অথবা অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করে। ভোটার গোয়ার জন্য আবেদন করার পর সব কিছু ঠিক থাকলে ২১ দিন থেকে ৪৫ দিন সময় লাগে জাতীয় পরিচয় পত্র অনলাইন হতে।

তবে নির্বাচন চলাকালীন সময়ে কিংবা অফিসে কাজের ছাপের উপর নির্ভর করে এই সময় পরিবর্তিত হতে পারে। তাই যারা নতুন NID Card এর জন্য আবেদন করেছেন তারা মোবাইলে SMS নাআসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

আপনার ভোটার আবেদন অনুমোদন হলে আপনাকে মেসেজের মাধ্যমে তা জানিয়ে দেয়া হবে। এমনকি আপনার আইডি কার্ডের নাম্বার সে মেসেজে উল্লেখ থাকবে। ফরম নাম্বারে বদলে NID কার্ডের নাম্বার ব্যবহার করলে এই সমস্যাটি হবে না।

অপ্রত্যাশিত সমস্যার জন্য দুঃখিত সমস্যার সমাধান

"অপ্রত্যাশিত সমস্যার জন্য দুঃখিত। একটু পরে আবার চেষ্টা করুন" এখন পর্যন্ত এটি সমাধান হলো ফরম নাম্বারের পরিবর্তে NID Number ব্যবহার করা। ১০ সংখ্যার অথবা ১৭ সংখ্যার আইডি নাম্বার এবং জন্মতারিখ ব্যাবহার করলে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।

এখানে আবারো একটি কিন্তু চলে আসে, যারা পুরাতন ভোটার তারা না হয় ফরম নাম্বারের বদলে NID নাম্বার ব্যবহার করবে। কিন্তু নতুন ভোটাররা তাদের আইডি কার্ডের নাম্বার কোথায় পাবেSMS

অপ্রত্যাশিত সমস্যার জন্য দুঃখিত সমাধানে করনীয়

NID Card এর ফরম নাম্বার / স্লিপ নাম্বারের পরিবর্তে জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার ব্যবহার করলে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না। এখন জানবো ফরম নাম্বার থাকলে NID number  বের করার উপায় সমূহ সম্পর্কে।

ভোটার স্লিপ দিয়ে ভোটার আইডির নাম্বার বের করার জন্য ভোটার তথ্য যাচাই করতে পারেন। তাছাড়া এস এম এস এর মাধ্যমেও আপনি আপনার আইডি কার্ডের নাম্বার জানতে পারবেন।

SMS এর মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার জানার জন্য মোবাইলের মেসেজ অপশনে যাবেন এবং টাইপ করবেন  NID<Space>FORM NO<Space>DD-MM-YYYY তারইর এটি 105 নম্বরে SMS পাঠাতে হবে। ১০৫ থেকে ফিরতি মেসেজর মাধ্যমে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার জানিয়ে দিবে।

NID NIDFN12345678 11-12-1913
Send it to 105

উপরে দেখানো এসএমএস ফরমেটটি অনুসরণ জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার জেনে নিতে পারেন। তাছাড়া আপনি চাইলে নিচের বাটনটিতে ক্লিক করে সরাসরি মোবাইলের এসএমএস অপশনে চলে যেতে পারেন। 

মেসেজ অপশনে NID check SMS ফর্মেটটি সাজানো থাকবে। আপনি শুধু ভোটার স্লিপ অনুসারে ফরম নাম্বার আর জন্ম তারিখ পরিবর্তন করে মেসেজ সেন্ড করবেন।

কখনো কখনো 105 নাম্বারে সঠিক তথ্য দিয়ে মেসেজ পাঠালেও ফিরতি মেসেজ আসে না। যদি কোন কারনে আপনার মোবাইলে এন আই ডি নাম্বার উল্লেখিত মেসেজ না আসে তাহলে নিচের নিয়ম অনুসরণ করে ১০০% nid কার্ডের নম্বর জানতে পারবেন।

ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ডের নাম্বার বের করার নিয়ম

ভোটার নিবন্ধন স্লিপের নাম্বার ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র বা এন আইডি কার্ডের নাম্বার জানার বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে।

  • নির্বাচন কমিশন হেল্পলাইনে ফোন করে
  • উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিস
  • মোবাইল SMS

হেল্পলাইনে ফোন করে আইডি কার্ডের নাম্বার বের করা

নির্বাচন কমিশনের হেল্পলাইন নামবারে ফোন করে নিজের আইডি কার্ডের নাম্বার জানতে পারবে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের helpline number হলো ১০৫

অফিস টাইমে ফোন করে আপনার ফরম নাম্বর দিয়ে এন আইডি কার্ডের নাম্বার জানতে চাইলে কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি তা জানিয়ে দিবে।

একটি ভালো দিক হলো ১০৫ এ কল করার জন্য কোন টাকা কাটে না, সম্পূর্ণ ফ্রিতে কথা বলা যায়। খারাপ দিক হলো, অনেক অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয় কথা বলার জন্য। নির্বাচন কমিশন হেল্পলাইন সম্পর্কে আরো জানুন।

উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে এনআইডি নাম্বার সংগ্রহ

আপনার ভোটার নিবন্ধন ফরমটি সাথে করে স্থানীয় উপজেলা / থানা নির্বাচন কমিশন অফিসে যেতে হবে। দায়িত্ব প্রপ্ত কর্মকর্তার কাছে আপনার সমস্যার কথা উল্লেখ করে জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর জনাতে চাবেন।

তারা তাদের ডাটাবেজ থেকে ভোটার স্লিপ অনুসারে আপনার আইডি কার্ডের নাম্বার জানিয়ে দিবে। আর যদি কোন প্রকার ইস্যু থাকে তাহলেও সে সম্পর্কে আপনাকে অবগত করা হবে।

যখনই আপনি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বারটি জানতে পারবেন তখন সেটি ব্যবহার করে খুব সহজে অনলাইন থেকে এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন কোন প্রকার সমস্যা ছাড়।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url